Tuesday 13 October 2020

পার্থজিৎ চন্দ, কবিতা, সাহিত্য এখন শারদ ২০২০,

 



 

চিৎপুর


চমৎকার সব দৃশ্য নামিয়ে চলেছেন পরিচালক। বাংলার গ্রামে দক্ষিণ রায়ের খাসতালুকে সরলবর্গীয় গাছ। অরণ্যের ভেতর বরফ-জমাট হ্রদ, দূরে ইগলুর ছায়া, ডবল-সাইক্লোরামার ধুঁয়াধার খেল…পাইপের এক মুখ দিয়ে যমুনার জল ঢুকে অন্য মুখ দিয়ে গঙ্গাজল হয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে। একদিকে শক্তি কাপুর তো অন্য মুখে অনুপম খের, পরিচালকের শিল্পবোধ বিলক্ষণ আছে, না-হলে হঠাৎ কেন মৌসুমী হাওয়ায় হাওয়ায় সমুদ্রের মতো ফুলে উঠছে তাঁবুর-জরায়ু! জীবনানন্দের ছায়ার পাশে স্থির হয়ে আছে ব্যাঙ্কোর ভূত। চমৎকার সব দৃশ্য নামিয়ে গ্রিনরুমে বসে ঘন ঘন সিগারেট টানছেন পরিচালক, পায়চারি করছেন, তার ডানদিকে শ্বেতাম্বর তো বামদিকে দিগম্বর, সামনে হীনযান ও পিছনে মহাযান। তামাম চিৎপুরের ভবিষ্যৎ তার হাতে, অক্ষরে অক্ষরে ফলে যাচ্ছে ভবিষ্যতবাণী ঝকঝক করছে খুদা বক্স বাই লেন…প্রমোদে ঢালিয়ে দিনু মন

সেন্টার-স্টেজে সযত্নে শোভিত বরফ-মানুষ, জিভ গলে ঝরে পড়া জল অবিকল গণ-প্রস্রাবাগার থেকে উপচানো মুত্রপ্রবাহ

প্রায় জলের দরেই এমন একটা জিনিস নামিয়ে ঘন ঘন চমকে উঠছেন ডায়রেক্টর

 

সর্বাঙ্গসুন্দর বিকলাঙ্গদের নিয়ে, ইনফ্যাক্ট, চিৎপুরে এ-প্রথম যাত্রাপালা এল

 

বিনয় মজুমদার

 

লেখার ভেতর অপদেবতার ছায়া পাকিয়ে উঠছে

ধাতব গুহার মুখে সারাদিন পাতা ঝরে ছিল

পাতাদের উড়িয়ে নিয়ে চলে যাচ্ছে ধাতুবাতাসের ঘূর্ণি

 

দূরে বিদ্যুতের জালে উঠে আসছে মাছ

 

বিনয় মজুমদার, আপনার লেখার সামনে বসে

দেখি ক্ষতস্থানে একটি দু’টি করে রোম

ইঁটচাপা ঘাসেদের মতো অবিকল গজিয়ে উঠেছে

 

এ শহরে, প্ল্যাসিবো শুশ্রূষায় মাঝরাতে ফিরে আসে চাকা। লঝঝড়ে গাড়িটির কাছে

No comments:

Post a Comment