Tuesday 20 October 2020

তুষারকান্তি রায়, কবিতা, সাহিত্য এখন শারদ ২০২০,

 


 

সুর


শূন‍্যে ঝুলিয়ে রাখা আশাবরীর কোমল 

আমার হেমন্তের মাঠ 

ভিড় বা কোলাহলের পাতা ওল্টাতে ওল্টাতে চলে যাই 

পলাশ বনের নির্জনে 

আলতো সুরে দুলে ওঠে প্রান্তরের নামাবলি

নিবিড় সুতোর টানে খুলে যায় 

গুটিপোকার উল্লাস


ভুলে যাই অনালাপ,  কুয়াশা, মেট্রোর এসি

 

            

 ধুনি


কয়েক পশলা বৃষ্টির পর আকাশ সহজ হলো  ;  একদল তরুণ পাখির মতো 

হইহই করতে  করতে হঠাৎই 

উড়ে এলো পালক - বাতাস

ছুঁয়ে গেলো জোড়াবট, পাতা, 

নেমে আসা ঝুরি 

নিকোনো মাটির দাগ, ঘন বনভূমি

টুকটুকে রঙ নেচে বেড়ালো 

কিশোরী কুসুমবনে পাতার চিবুকে 

হাওয়া এসে আলগোছে 

উড়ে গেলো বকের পাখায় 

নদীদের চরে চরে,  পাতার মাথায় 

রাতজাগা শ্লোক বলে গেলো আগমনী সুর

তারপর,  আমাদের বাড়ির উঠোনে 

ভোরের পূরবী মাখা 

থোকা থোকা শিউলির ছাপ রেখে

উমা এলো ঘরে 


ধুনি জ্বলে ধিকিধিকি  ---- 

  ঘরে এলো অকাল বোধন 

        

 

 জল নূপুর


জলপ্রিয়া তুই মল্লার নাচে দক্ষ

লিখে পাঠালাম ছোট ছোট দানা বৃষ্টি 

ভিজে যায় যদি কাগজের আঁকা বিদ‍্যুৎ

কী নিখুঁত দ‍্যাখ অকালবেলার অক্ষর


কবিতার সুরে ভেজা কথা অনুষঙ্গ 

জলের শব্দ  এখনও লিখছে গল্প 

দিগন্ত চিরে ছিটকে পড়ছে বজ্র

শব্দের জল ছুঁয়ে যাক নদী সঙ্গম


চোখের তারায় সংকেতে জ্বলে তিস্তা 

প‍্রতিদিন লিখি শিরোনামহীন ছন্দ 

নদীয়ালি চরে পুরাতন প্রেম বন্দিশ

জল নূপুরের টুং টাং সুর বিস্তার 


       

No comments:

Post a Comment