দু’টি কবিতা
একটি কবিতার জন্মকথা
টেবিলে বসতেই, ঠিক সামনে
শাদা কাগজের ওপর
হাঁটু মুড়ে বসল ফেরারি যুবক৷
বুকে সম্মোহনের অঙ্গার,
হাতে অদৃশ্য নীলমণি ক্ষত...
মুখ তুলে হঠাৎ সে হাসল–
সে-হাসি লক্ষ কান্না দিয়ে বাঁধা৷
তারপর বেশ খানিকটা সময়
কথাবার্তা চলে – স্মৃতিচারণ ও
ভাবের আদান-প্রদান৷
এইসব চলতে চলতেই আচমকা
সে উধাও হয় আর আমি
অবাক হয়ে দেখি, শাদা কাগজটি
ভরে উঠেছে ভেজা ভেজা অক্ষরে৷
একটি স্বপ্নের জন্মকথা
শ্বেতপদ্মের মতো মায়াবী মাতল গ্রীবা
গ্রীবায় ছোঁয়ানো আঙুল পুড়ে হয় ছাই
ছাই দিয়ে সাজানো এই জীবন-গরাদ
গরাদের মাঝে উড়ে বেড়ায় প্রাণপাখি
পাখির চোখের সিন্দুকেই আছে মুক্তি
মুক্তির উন্মথনগুলি মুছে যায় অশ্রুতে
অশ্রু একমাত্র সত্য, অশ্রু সত্য মুকুর
মুকুরে লুকনো আছে আরেকটি মুকুর