মরণকূপ
চুপচাপ পড়ে আছে
সৃষ্টিকর্তা তাকে যেরকম গায়ের রঙ দিয়েছে
প্রায় সেরকমই নিয়ে
নার্ভের রোগীর মতো (যদি কোনো রোগবালাই না থাকে ) মাঝেমাঝে
পিটপিট করে তাকায় , ফের ঘুমিয়ে পড়ে
হাত পা তো নেই যে ছুঁড়বে
মানুষেরা, আজকাল , বাচ্চা কাঁদলেও
ততটা ব্যস্ত হয়না
আর সে তো কাঁদে না, শুধু জানান দেয় , তাও
দূর থেকে কারো খোঁচায়
আর কে না জানে
চরিত্র বলে তার কিছু নেই
যখনতখন সে অফিসের বস থেকে সুপ্রিমকোর্ট
ধর্ষিত , পরকীয়া কিংবা
ডোবার-ম্যান হয়ে উঠতে পারে
ওঠেও
জীবন
কখন শুরু হয়েছিল জানি না
কখন শেষ হবে
মধ্যখানটুকু নিয়ে মগ্ন হয়ে আছি
শুরুতে ছিলাম না
সগর রাজার ছেলেরা পানে ব্যস্ত ছিল
চিল এসেছিল মেঘের আড়াল থেকে
ছোঁঁ একমাত্র ছিল তারই
হর্ম্যরাজি ভেঙে পড়ার কথা
বলাবলি করছে লোকেরা
চাপা না পড়ার উপায় আছে কিনা জানে না
চেষ্টাও নেই
টেবিলে এখনো অনেক আহার আর পানীয়
আমি তো লীন হতেই চেয়েছিলাম , চাইনি কখনো
শরীরে ব্লটিং
No comments:
Post a Comment