অন্ধকার ও প্রেয়সী
প্রাগৈতিহাসিক মেঠো পথ পেরিয়ে এসে একা আমি দাঁড়িয়ে আছি
নিভু রোদের স্তম্ভ ছুঁয়ে।
পায়ের নীচে নো-ম্যানস্ ল্যান্ড,
সামনে নিস্তরঙ্গ ত্রিমুনিখাল চুপিসারে বয়ে যায়
সন্ধের কাছে একান্ত আলাপচারিতার আশায়।
অদূরে রাধা-গোবিন্দর মন্দির
মুহুর্মুহু নাম সংকীর্তনের ধ্বনি ওঠে ভালবাসার প্রলেপে
জীবনের সহস্র ক্ষত ভরাট করার কামনায়।
তিরতির করে নিকষ অন্ধকার নামলে বাতাসে ভেসে আসে
একদল ক্ষুধার্ত যুবকের কুমারীচর্চা
ওদের প্রেয়সী নেই।
আকস্মিক সময়-দূরত্বের পাটিগণিত ভুলে
আমি ফিরে যাই আমার ফেলে আসা প্রেয়সীর ঘরে
যেখানে রোজ গোপনে রচিত হয়
চড়ুই পাখিদেরও মিলন কাব্য।