Showing posts with label সঞ্জয় কর্মকার. Show all posts
Showing posts with label সঞ্জয় কর্মকার. Show all posts

Wednesday 6 January 2021

সঞ্জয় কর্মকার,কবিতা,সাহিত্য এখন শীতসংখ্যা ২০২০-২১,

 

       



      

 

 অন্ধকার ও প্রেয়সী

                       

                                         

প্রাগৈতিহাসিক মেঠো পথ পেরিয়ে এসে একা আমি দাঁড়িয়ে আছি

নিভু রোদের স্তম্ভ ছুঁয়ে।

পায়ের নীচে নো-ম্যানস্ ল্যান্ড,

সামনে নিস্তরঙ্গ ত্রিমুনিখাল চুপিসারে বয়ে যায়

সন্ধের কাছে একান্ত আলাপচারিতার আশায়।

অদূরে রাধা-গোবিন্দর মন্দির

মুহুর্মুহু নাম সংকীর্তনের ধ্বনি ওঠে ভালবাসার প্রলেপে

জীবনের সহস্র ক্ষত ভরাট করার কামনায়।

তিরতির করে নিকষ অন্ধকার নামলে বাতাসে ভেসে আসে

একদল ক্ষুধার্ত যুবকের কুমারীচর্চা

ওদের প্রেয়সী নেই।

আকস্মিক সময়-দূরত্বের পাটিগণিত ভুলে

আমি ফিরে যাই আমার ফেলে আসা প্রেয়সীর ঘরে

যেখানে রোজ গোপনে রচিত হয়

 চড়ুই পাখিদেরও মিলন কাব্য।

Saturday 3 October 2020

সঞ্জয় কর্মকার , অণুগল্প, সাহিত্য এখন শারদ ২০২০,

  


 

 

পাগলটা

                                                                                

রেল বস্তির পাগলটা সেই সন্ধে থেকে বাড়ির আশেপাশে ঘোরাঘুরি করছে । কে যেন একজন তাড়াতে গেছিল, তাও যায়নি। রূপকবাবুর ছেলের  আজ অন্নপ্রাশন । আলোর বন্যায় ভেসে যাচ্ছে বাড়ির  চারদিক । অথচ পাগলটা নিজেকে আড়াল করার জন্য একটু অন্ধকার খুঁজছে। অকস্মাৎ  রূপকবাবুর  চোখে পড়ল পাগলটা। একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে ভাঁড়ার ঘরের দিকে। রূপকবাবু পাগলটার কাছে গিয়ে কিছুটা বিরক্তির ভঙ্গিতে বলে উঠলেন , ' এখানে কী চাই রে তোর? সেই থেকে এভাবে কী দেখছিস? বলি, মানুষকে বিরক্ত করা ছাড়া তোদের কি আর কোন কাজ নেই?'

রূপকবাবুর মুহুর্মুহু প্রশ্ন শুনে পাগলটা ভয় পেয়ে   দু-হাত পিছনে সরে গেল। তারপর মুহূর্ত খানিক নীরব থেকে শেষে একটু যেন  সংকোচের সুরে বলল, ' খুব খিদা লাগছে। আমারে কিছু খাবার দিবেন?'

'উফ্ জ্বালিয়ে খাস একেবারে! এখানেই দাঁড়া । দেখছি।' কথাটা বলেই দ্রুতপায়ে আবারও বাড়ির  ভিতরে ঢুকে গেলেন রূপকবাবু।

খাওয়া- দাওয়ার লাস্ট ব্যাচ উঠে গ্যাছে। পাগলটাকে এখনও  বাড়ির গেটে স্থির দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে রূপকবাবু বললেন, ' ঈশ , একদম ভুলে গেছি রে!' 

কিছুক্ষণ  পরই রূপকবাবু একটা থার্মোকলের থালায় কিছু খাবার - দাবার এনে পাগলটার হাতে তুলে দিলেন। খাবার পেয়ে পাগলটা বাড়ির দিকে পা বাড়াতেই রূপকবাবু বলে উঠলেন, ' যাচ্ছিস কেন ,খেয়ে নে!'

'এই খাবারটা ও বাবা- মাকে দিয়ে খাবে। সব অনুষ্ঠান বাড়ি থেকেই এভাবে ও বাবা- মায়ের জন্য  খাবার নিয়ে যায়।' পাশ থেকে বলে উঠল শুভম ক্যাটারার্সের একটা ছেলে।

ছেলেটার কথা শুনে বুকের ভিতরটা  হঠাৎই মোচড় দিয়ে উঠল রূপকবাবুর। স্ত্রী বৈশালীর চরম আপত্তিতে শেষ দু-বছর একটা বারের জন্যও  বাবা - মায়ের খোঁজ নেয়নি ও। তারা এখন কী খেয়ে যে ...  
                      ............................

Saturday 27 June 2020

সঞ্জয় কর্মকারের কবিতা 'প্লাবন'







প্লাবন
              সঞ্জয় কর্মকার
                               
    তোমার চোখে  ভস্ম হতে পারি
     অশ্রু জলে বাঁচিয়ে রাখি প্রাণ
     তোমার ছোঁয়ায় গৃহস্থালির সুখ
     সন্ধ্যাকালে হাস্নুহানার ঘ্রাণ।

     তোমার ঘরে মুক্ত চড়ুই  যত
     জ্যোৎস্না নামায় অলীক  ভালবাসা
     তোমার কাছে পণ রেখে দিই মৃত্যু
     পূরণ করি সর্বনাশের  আশা।

     তোমার বুকে অষ্টাদশীর প্রেম
     রাতজাগা সব পতঙ্গদের ভিড়
     একলা ঘরে নিঃস্ব যাপন রোজ
     কূল ভাসানোর  নেই  তো  কোন তীর।