Showing posts with label বৈদূর্য্য সরকার. Show all posts
Showing posts with label বৈদূর্য্য সরকার. Show all posts

Saturday 26 December 2020

বৈদূর্য্য সরকার , গল্প, সাহিত্য এখন শীত সংখ্যা ২০২০-২০২১,

 


প্রান্তিক



শীতের ছুটি চলছে ।  পাড়ার চায়ের দোকানে বেলায় আড্ডা দিতে গেছি, রাজাদা উত্তেজিত ভঙ্গিতে মাথা নাড়ছে ।  তার রবি ঠাকুর মার্কা দাড়ি হাওয়ায় এবং উত্তেজনায় ছটফট করছে । 
আমি জিজ্ঞাসা করলাম, সত্যি কি কোনও ডক্যুমেন্ট আছে ? রাজাদা চটে বলল, ডক্যুমেন্ট আবার কি... সবাই এতকাল ধরে জানে – নেতাজীর মামার বাড়ি । 
ওর ধাত জানি বলেই শান্তভাবে জিজ্ঞেস করলাম, সে ঠিক আছে...কিন্তু প্রোমোটিং যে হচ্ছে, তাদের কাগজপত্র পাশ হল কী করে ! 

পাশ থেকে খিটকেল ভটচাজ বলে উঠল, টাকা রে ভাই, সব টাকার খেলা...গোটা দেশটা বেচে দিল । আর এ হচ্ছে নেতাজী – মরার খবর পর্যন্ত চেপে দিয়েছে । 
এমন সময় ফোকলা দাঁতে হাসতে হাসতে পুরুত বলে উঠলো, মানুষের আয়ু যত বাড়ছে... মানুষের কচি সাজাও যেন বেড়ে চলছে। বিরক্ত হয়ে তাকালাম । তখনই  ঝলমলে ক্যাবলাদা হাসিমুখে সামনে এসে দাঁড়ালো । মুখে কিছু বলে না বটে তবে অঙ্গভঙ্গি করে হাসে আর চোখ পিটপিট করে । পানও চেবায় অবশ্য। আজ লাল রঙের পায়জামা পাঞ্জাবি জুতো টুপি মুখোশ পরে এসেছে । অদ্ভুত এক মূর্তি। 
রাজাদা রেগে লাল হয়ে বলে চলেছে, নেতাজীর ভূত নিয়ে সিনেমা করে হাউসফুল করে দিলে... তার জ্যান্ত মামারবাড়ি নির্দ্বিধায় ভেঙে ফেলছে! 
 সেই সময়েই কোথা থেকে টুপি পরা পাগলা বাজিয়েটা মাটি ফুঁড়ে এসে মাউথ অর্গান নিয়ে অঙ্গভঙ্গি করে ‘কদম কদম বাড়ায়ে যা’ বাজাতে লাগল । 
শুনে আমরা একটু থমকে গেলেও  পুজোয় ওর অ্যাসিটেন্ট হয়েছে বলে রোগাভোগা ভটচাজ পুরুতের সেই আগের কথাটা ধরে ততক্ষণে বকতে শুরু করেছে, মানুষ আগে চল্লিশ পঞ্চাশ বছরের আগেই সটকে পড়তো । আর এখন আশি নব্বই আকচার। পাশ থেকে কে যেন বলেছিল, একশো বছর বাঁচলে নাকি ডবল পেনসান দেয় ।   

চায়ের দোকানে বসা লোকগুলোর আদৌ কোনও মিল নেই । না চেহারায় না বয়সে কিংবা কাজকর্মে । তবে মিল ভেতরে ভেতরে একটা আছে বটে – সবাই মোটের ওপর ব্যর্থ । সমাজে কোনও দাম নেই । তেমন কোনও পরিচিতিও নেই বটে। সবার মনের ভাবটা খানিকটা এর’ম – দুনিয়ার লোক ষড়যন্ত্র করে বিপাকে ফেলেছে । বিশ্বায়নের মতো সেই গভীর ষড়যন্ত্রে যাবতীয় ভাল ব্যাপার বন্ধ হয়ে গেছে । পুরুত যেমন বলে, দেবদ্বিজে ভক্তি চলে যাওয়াটাই আসল কারণ । রাজাদা বলে- সব ওপারের লোকেদের চক্রান্ত । আমি নতুন কিছু বলার মতো মুখে বলে বসি – পলিউশান, চারদিকে সব দরকচা মারা অবস্থা । পরিবেশ প্রকৃতির মতো মানুষগুলোও সব কেমন যেন হয়ে গেছে ।

আমাদের মতো সামান্য লোকের দল কি এসব ব্যাপারে আদৌ কিছু করতে পারবে ? জিজ্ঞেস করার আগেই দেখলাম রাজাদার মুখচোখে কেমন যেন একটা তেড়েফুঁড়ে ওঠা দৃষ্টি । 
কীভাবে এগোনো যেতে পারে সেটাও তো পরিষ্কার নয় । আমাদের না আছে দল, না অন্য কোনও বল । নেহাৎ পুরনো পাড়া বলে দু’চারটে নিস্কম্মাকে আড্ডায় পাওয়া যায় । এসব নিয়ে যদিও মাথা ঘামায় না কেউ আজকাল। 

চায়ের দোকানে অধিকাংশ সময় কাটানো অন্যান্য লোকের মতো আমার অবস্থা না হলেও রাজাদার সাথে সখ্যতার কারণেই ওখানে জুটে গেছিলাম । রাজাদা এককালে পদ্য লিখেটিখে নাম করেছিল । কীভাবে যেন জাতীয় পুরস্কার পেয়েওছিল একবার । কিন্তু তারপর থেকে ক্রমে কেষ্টবিষ্টুদের অবহেলায় কর্নার হয়ে গেছে । এমনকি ওয়েবসাইটে তখনকার পুরস্কৃত লোকগুলোর নাম পর্যন্ত নেই । আছে তার পরের সময় থেকে, যখন থেকে প্রবল প্রতাপান্বিত প্রেসিডেন্ট তার নিজের সিস্টেমের লোকেদের পুরস্কার দিয়েছে । রাজাদার মুখে শুনেছি, উনি নাকি পূর্ববঙ্গীয় গরীব বামুনদের প্রেফার করতাম । সেদিকে রাজাদা একেবারে মিসফিট । বাড়ির অবস্থা ভাল, এপারের বেণে । তবে এখন তেমন দাপদাপট নেই, বুঝতে পারি । এখন ও লেখালিখির থেকে এনজিও নিয়ে বেশি ব্যস্ত। বাইরে না যাওয়ার কারণে চাকরি ছেড়ে কিছু টুকটাক ফ্রিলান্স করে। একা মানুষ- তেমন কীই বা খরচ ! 

আমার অবস্থা ঠিক উল্টো – বিয়ে থা করে ল্যাজেগোবরে । যদিও সংসারে থিতু হওয়ার বদলে এসব উ্তপটাং ব্যাপারে বেশি টান । চাকরি নাম কা ওকয়াস্তে করলেও মন নেই । গায়ের জোরে লেখালিখির চেষ্টা করলেও বড় জায়গায় তেমন সুযোগ পাই না – মুরুব্বির জোর নেই বলে । ঘরে আশান্তি – গঞ্জনা । সমবয়স্ক বন্ধুরা বাইরে গিয়ে গুছিয়ে নিয়েছে – গাড়ি বাড়ি বিলিতি বউ । আমি সেই এক জায়গায় পড়ে আছি – হেরিটেজ নিয়ে যাদের গর্ব, বর্তমানে কোনও আশা নেই ।

প্রোমোটার নয়তো রামকৃষ্ণ মিশন –এখানকার পুরনো বাড়িগুলো গিলে খাচ্ছে । টাকার লোভে অধিকাংশ লোক বাস্তুভিটে ছেড়ে চলে যাচ্ছে শহরতলিতে । সেখানে একজন ভুলে যাওয়া দেশনায়কের মামার বাড়ি ! আদৌ কিছু হবে ? বুঝতে পারছিলাম না । তবে সবার আগ্রহে যে কিছুটা জড়িয়ে পড়েছি- তা বুঝতে পারছিলাম ।
ওই চায়ের দোকানে বসার সূত্রে ভটচাজ এসে কথা বলে । ভাল বংশের হলেও সহায় সম্বলহীন লোক –একটা বন্ধ দোকানে থাকে । কাজকর্ম নেই । খাওয়া জোটে কী করে কে জানে ! পুরুতের পুজোর ব্যবস্থা থাকলেও তাতে আর কত । তবু ভটচাজটা ভিড়েছে কলাটা মুলোটার লোভে । তুলনায় অবস্থা ভাল ক্যাবলাদার । ওদের কী একটা ছোট কারখানা আছে । সেখানে না বসলেও কিছু মাসহারা পায় বটে । খরচ বলতে জামাকাপড়ের । একই স্টাইলের শেরওয়ানি পাজামা পাঞ্জাবি – ওর কমপক্ষে ত্রিশটা আছে বলে মনে হয় আমার । রোজ আলাদা রঙের । সাথে ম্যাচিং টুপি । ফক্কুড়ি করে জিজ্ঞেস করতাম, কাকে ইম্প্রেস করতে চাও ? শুনে রাগতো না, মৃদু হাসত আর চোখ পিটপিট করতো ।    

একটু আলাদা ছিল পাগলা বাজিয়েটা । ছোট থেকে ওকে মাউথঅর্গান বাজাতে দেখতাম এলাকার ছোটখাটো অনুষ্ঠানে । তখন থেকেই ন্যালাখ্যাপা । বয়স বাড়ার সঙ্গে পাগলামি বাড়ে আর এসব সুযোগও জুটতো না ওর । তবে যেখানে সেখানে দাঁড়িয়ে বাজনা বাজাতে ক্লান্তি ছিল না । প্লাটফর্ম চায়ের দোকান কিংবা গলির মোড়ে সে আপন মনে বাজনা বাজাতো । কেউ বিরক্ত হয়ে কিছু বলত হয়ত । ও ভ্রূক্ষেপ করতো না। আমার মনে হতো – অনেকসময় অজান্তেই ও ঠিক মিউজিক বাজিয়ে আবহটা তৈরি করে দিয়ে যায় । 

রাজাদার আগ্রহে নেট ঘেঁটে বের করেছি, হেরিটেজ কথাটার সঠিক মানে - belonging to the culture of a particular society, such as traditions, languages, or buildings, which come from the past and are still important... রাজাদা ভাবতে শুরু করেছে কাকে দিয়ে কাকে কাঠি করানো যায় । শাসক দলের অনেক লবি... তাদের কাউকে ধরেই এসব ভাঙন আটকাতে হবে । কিন্তু কীভাবে ? রাজাদা বলছে, কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা।
বিধায়ক মন্ত্রী এমপি সব নিয়ে যখন কথাবার্তা চলছে তখন ফোকলা পুরুত আশ্চর্য একটা সমাধানসূত্র দিল । রবিবার সে একদল পুরোহিত নিয়ে আমাদের বিধায়ক ও রাজ্যের মন্ত্রীর সাথে দেখা করবে । মোদ্দা কথাটা হচ্ছে – চারিদিকে পুজো নিয়ে যে অনাচার... তার কিছু একটা ব্যবস্থা করা। এর খেই ধরে রাজাদা ওই বাড়ির ব্যাপারটাও বলে বসবে । তারপর দেখা যাবে । শুনতে কীর’ম অদ্ভুত লাগছে আমার । কিন্তু সবার উৎসাহে ওটাই ফাইনাল হল ।  
যেদিন এই আশ্চর্য মিটিং সেদিন আমি অবশ্য যেতে পারিনি । শুনেছি রাজাদার ক্যারিশ্মায় নাকি মন্ত্রী ব্যাপারটা শুনে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন । পরবর্তী ব্যবস্থার জন্য মেয়রের সাথে কথা বলা দরকার । এতো সহজে তো আর কাজকর্ম বন্ধ করবে না প্রোমোটার।

রাজাদা বেশ সেজেগুজে মেয়রের ঘরে গেছিল একদিন । তিনি চা খাইয়ে অনেক প্রশংসাও করেছে । শুনে আমাদের বেশ গর্ব হল বটে। পুরুতের ওর পুজোর ব্যাপারে দরবারের কতটা কী হয়েছিল জানি না, তবে সে বেশ খুশি মনেই রাজাদাকে পৈতে তুলে সাবাসি দিয়েছে । ভটচাজও বেশ বিগলিত মুখে বলছে, একখানা যা কাজ করলে না... । জিজ্ঞেস করলাম, কাজটা বন্ধ হবে কবে ? সেটা নিয়ে অবশ্য রাজাদা খুব কিছু বলতে পারলো না । 
পরের দিন বেলার দিকে রাজাদার কাছ থেকে একটা অদ্ভুত মেসেজ পেলাম – ‘মহাবিপদ...ফোন বন্ধ রাখছি... দরকার হলে কল করে নেবো... আপাতত গা ঢাকা দিতে হবে’। আগাগোড়াটাই বোঝার মতো কোনও বিষয় নয় । তবে কল করে দেখলাম, ফোন সুইচড অফ । কিছু বুঝতে পারলাম না ।

নানা হাবিজাবিতে ব্যাপারটা খেয়ালও ছিল না । ক'দিন পর হঠাৎ একদিন বিকেলে ওর ফোন পেলাম । আমার অফিসের কাছাকাছি কোথাও একটা দেখা করবে । যাইহোক, গিয়ে দেখি অবিন্যস্ত চেহারায় কাঁধে ঝোলা নিয়ে রাজাদা । অবাক হয়ে তাকাতে দেখে বলল, ক’দিন এলাকাছাড়া । ওইদিন রাতে নাকি একদঙ্গল ছেলেপুলে ওর বাড়ির সামনে খিস্তিখেউড় করেছে । ঢিল পাটকেলও ছুঁড়েছে । তাদের উন্মত্ত চিৎকার থেকে যা উদ্ধার হয়েছে – ওই বাড়ি ভাঙার ব্যাপারে ব্যাগড়া দেওয়ার কারণেই প্রোমোটারের উৎপাত । তবে ভাগ্যিস ওকে কেলানে কবি ভেবেছিল, তাই পেটো বা খুনজখমের প্রয়োজন মনে করেনি তারা ।

আমি হতবাক হয়ে ততক্ষণে ভাবতে শুরু করেছি – এটা কি সত্যিই বিশ্বাসযোগ্য একটা ব্যাপার ! এই সামান্য ব্যাপারে লোকের ওপর এর’ম অত্যাচার হতে পারে ? আমার মনের কথা পড়ে রাজাদা বলল... কয়েক কোটি টাকার ব্যাপার, এতো সহজে কি ছেড়ে দেবে ! একটু থেমে বলল, এখন বুঝতে পারছি... মন্ত্রী কেন বলেছিল বেশ অনেক লোক সাথে নিয়ে মেয়রের কাছে দরবার করতে যেতে । তাহলে আর আমি একা মার্ক হতাম না । কিন্তু কেই বা যাবে ! আমাকে বলেছিল, নানা ঝামেলায় যেতে পারিনি । আর কে নিজের কাজকর্ম ছেড়ে যাবে ? থাকার মধ্যে পুরুত ভটচাজ ক্যাবলাদা আছে বটে... কিন্তু ওদের চেহারাছবি যা ! আমি রাজাদাকে থামিয়ে বললাম, ওদের দিয়েই হবে । মিছিলে ইন্ডিভিজুয়াল মুখগুলো বড় বিষয় নয় ।

পরিকল্পনা অনুযায়ী জানুয়ারির ২৩ তারিখ এলাকার কয়েকটা ছোটখাটো ক্লাব পতাকা আর নেতাজীর ছবি নিয়ে মিছিল বের করলো । তাদের সাথে আমরা জুড়ে গেলাম । ক্রমে স্লোগানের অভিমুখ ঘুরে গেল ‘নেতাজীর স্মৃতি’ তার মামার বাড়িটাকে বাঁচানোর দিকে । আগে থেকে অবশ্য কিছু লোক ঠিক ছিল । যাদের ব্যক্তিগতভাবে তেমন কোনও গুরুত্ব না থাকলেও দলগতভাবে অস্বীকার করা যায় না । 
মানুষের সে নদী নানা দিক থেকে আসা লোকের শক্তিতে বিপুলা হয়ে বইতে লাগলো রাজপথ জুড়ে । সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক এবং স্বতঃসফূর্ত মিছিলের ছবি তোলার কিছু লোক আমাদের আগে থেকেই ঠিক করা ছিল অবশ্য । গন্ধে গন্ধে ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া এসে গেল । স্বাভাবিকভাবে বিধায়কের বিবৃতি দাবী করা হল । তিনি আগে থেকেই খবর পেয়েছিলেন, ফলে মানুষের ইচ্ছা অনুযায়ী ঐ বাড়িটাকে হেরিটেজ হিসেবে মেনে নিতে দেরি করেনি । ওখানে নেতাজীর মূর্তি স্থাপনের কথাও দিয়ে ফেললেন । মুহূর্তের মধ্যে নেতাজীর ছবিতে মাল্যদান এবং পতাকা উত্তোলনের ব্যবস্থা করে তার দলের লোকেরা যথেষ্ট সাংগঠনিক শক্তির পরিচয়ও দিল । ততক্ষণে লোক জমেছে অনেক । বেলা পড়ে এসেছে । দু’একটা ফুচকা ভেলপুরি বেলুনওলা জমতে দেখে রাজাদা নিশ্চিন্ত হল । ওর মুখ দেখে বুঝলাম আমাদের দায়িত্ব ফুরিয়েছে । থাকার দরকারও নেই আর । এবার নদী যথানিয়মে মোহনায় যাবে ।

ভিড় ভেঙে পিছোতে লাগলাম । সঙ্গে ভটচাজ ক্যাবলাদা আর পুরুতও ফেরার পথ ধরেছে । ভটচাজ বলল, এভাবে চলে যাওয়াটা কি ঠিক হচ্ছে... সব যখন মিটেই গেল । রাজাদা মৃদু হেসে বলল, যার জন্মদিন তার কথা জানো না... প্রেসিডেন্ট হয়েও ক্ষমতা ছেড়ে দেশ ছেড়ে গিয়ে অজানার পথে নতুন করে যুদ্ধ শুরু করেছিলেন যে। শুনে ক্যাবলাদাও বেশ মজা পেয়ে হাসতে লাগলো । ঠিক সেই মুহূর্তেই পাগলা বাজিয়েটা বাজাতে শুরু করেছে -‘একলা চলো রে ...’। 
 
শীতের ছোট বেলা ফুরিয়েছে। তখনই ঘরে ফিরতে ইচ্ছে করলো না। চায়ের দোকানে আগডুম বাগডুম কথাবার্তায় মেতে উঠলাম আমরা। উনুনে আঁচ বেশ গনগনে । মনে হল, ছাই চাপা আগুন ঠিক সময়ে বেরোবেই ।