একলা দ্বীপ
আসলে সমস্ত দ্বীপ একদিন ডুবে যায় একা,
জলস্তর বাড়ে, বাড়তে বাড়তে গলা পর্যন্ত উঠে আসে জল।
শ্বাস থেমে থেমে আসে আর উঁচু হতে হতে জলের আঁচড়
গিয়ে পড়ে বালির শরীরে, ক্ষততে…
এত দীর্ঘকালের খোলা আকাশটাও ডুবে যায় চোখের সামনেই।
নির্জন দ্বীপ আসলে কবির মতো, একলা...
মাঝে মাঝে গাছ বেড়ে ওঠে বুকে; ছায়া দেয়,
মন মেঘলা করে আসে, বৃষ্টি নামে চতুর্ভুজ।
পরিযায়ী পাখিদের সঙ্গে প্রেম হয় সাময়িক, বিরহ হাসে দীর্ঘকাল।
আবার ঢেউ এলে ভেসে যায় মেঘ, জমানো গল্পের নোঙর মাটি খোঁজে।
দ্বীপের চতুর্দিকে জল; জলের অতলে ভিজে চটি। শান্ত ডুবুরির মৃতদেহ।
তবু ঢেউ আসবেই...
মরা ঝিনুক খোলস ভাসে হাওয়ায়,
ঢেউ আসে তার ভেতরে ভেতরে নোনারাগ... সমুদ্রঝড়...
জলের নিচে একলা দ্বীপ তার একলা শরীর ছুঁয়ে থাকা ঠান্ডাজল,
গভীর জন্ম-অন্ধকার, তার পাশে ভাঙা ভাঙা কাঠের প্রাসাদ,
তারও আগে ডুবে যাওয়া কোনো একলা দ্বীপ...
সারি সারি অতল না-বলা কথা, অন্তিম বিশাখাসঙ্গম বালিয়াড়ি।
একলা দ্বীপের বুকের ওপর দিয়েই
প্রত্যহ পার হয়ে যায় হাজারো নাবিকজাহাজ...
No comments:
Post a Comment