একটি রূপকথার জন্ম
১.
হয়তো কালের কথকের কথাই সঠিক ছিল -
নুড়ি বিছানো শুকনো নদীর খাতে জলের শীর্ণ রেখা
চকচক করছিল শুক্লা চতুর্দশীর অদ্ভুত মায়াবী রাতে,
তারপর স্বপ্নের মতো কেটেছিল অবশিষ্ট রাত,
একটা খুব চেনা ছবি, একটা খুব পরিচিত মুখ
একটা অচেনা দৃশ্য, একটা অজানা পথ -
এ সবই সত্যি হতে পারত – কিন্তু পারেনি,
তাই একটি রূপকথার জন্ম হয়েছে বিপরীতক্রমে।
২.
হয়তো ঝরা সময়ের গান নিছক গান নয় বলেই
দিগন্তরেখার পারে শোনা যায় বাঁশির করুণ সুর
বুকের অর্ধেকটা জুড়ে গোধূলির রঙ – মুছে যেতে যেতে
নিত্যদিনের অভ্যাসমতো ঘরে ফিরে আসি,
আর কোনও কথা নয় – নিঃশব্দ পদসঞ্চারে সন্ধ্যা আসে
আবছা আলোয় মনে ভাসে একটা অন্ধকার মুখ,
জ্যোৎস্নায় থই-থই রাতে পায়ে-পায়ে যাই পদ্মদিঘির ঘাটে
টলটলে স্বচ্ছ জলে দেখা যায় ঝক-ঝকে রুপালি চাঁদ -
এখন মাঝে-মাঝেই ঘুমের মধ্যে ছোটবেলার স্বপ্নে ঢুকে যাই
আবার জেগে ওঠার আগেই ইচ্ছেগুলো ঘুমিয়ে পড়ে।
৩.
সারা জীবনের অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের জন্য হাইওয়ে ধরে
দীর্ঘ পথ হেঁটে গেছি নতুন জনপদের অভিমুখে
অথবা হেঁটেছি বৃথা, ঘুরেছি উদভ্রান্ত একা -
দিনবদলের
পালা সকলের অগোচরে ঘটেছে বলেই
দিবা-রাত্রির বিধিবদ্ধ ইতিহাস লেখা যায় না সবিস্তারে,
সেই সব ঘটনা লোকের মুখে মুখে রূপকথার গল্প হয়ে ফেরে।
অঙ্কনে মঙ্গলদীপ সর্দার
No comments:
Post a Comment