দীর্ঘশ্বাস
চোখের পাতা বন্ধ রেখে অবাক হয়ে দেখছি তাকে
যে আমাকে
কফিন কফিন শয্যাশায়ী দেখতে পেয়ে ভাবছে কিছু
না হোক প্লেটো, এরিস্টটল, মিশেল ফুকো
ভাবছে যখন, ভানও যদি হয় সে তাদের পরম্পরা
তফাত শুধু কী ভাবছে তা, বলছে না মুখ
যে যা-ই ভাবুক
আমি এখন সবদৃশ্যে দায়মুক্ত ছবির মানুষ—
নিরুদ্দেশের উলটোরথে অন্তবিহীন নৈঃশব্দ্য
চোখ বন্ধ, দুহাত খালি
জোড়াতালির
জীবন ফেলে এখন আমার দূর অজানায় যাত্রাশুরু
কবরখানা অব্দি যারা পৌঁছে দেবে, তাদের ভিড়ে
ভাবুক মহাশয়কে দেখে খরস্রোতা হাসি পাচ্ছে
পেলেই বা কী, মরদেহের হাসতে মানা
যে আমাকে দেখামাত্র মুখ ফেরাত, সে-ও এসেছে
বাদ যায়নি সেই অধমও—
যার কামনার শীর্ষে ছিল আমার মৃত্যু
নিজের চোখে লাশ দেখে তার বিশদ স্বস্তি
শেষযাত্রা এমনই হয়
এক ঝটকায় অদৃশ্য হয় নামপরিচয়
সব দাগ সব পথের রেখা একনিমেষে মুছতে আসে
তা-ও মৃতরা মর্ত্যধামে ফেরত আসে দীর্ঘশ্বাসে
কোথায় কারও একলা মনের দীর্ঘশ্বাসে
একলা মনের দী র্ঘ শ্বা সে