সবুজ দ্বীপ
যদি পারো আবার এসো এতটা বলে চলে যেতে হতো। যে বৃষ্টি দাঁড়িয়ে ছিল অপেক্ষায়,
উবু হয়ে বসা চাঁদ হাতছানি দেয় তাকে। ইচ্ছের অতৃপ্ত নিঃশ্বাস গাঢ় করে
আঁধারের মৌনতা। সবকিছু ওই একটা যদির ভরসাতেই এদিক ওদিক হয়ে যায়। সাঁকো জোড়া
লাগে বা ভেঙে যায়। টুকরো অভিমান বাক্যালাপ সেরে নেয় প্রতিফলনে। শহর সমাপ্ত
হলে বিভাজিকা বাঁচিয়ে রাখে উত্তাপ।সম্মোহনের অপর নাম বৃষ্টি। জামার ক্লিপ
ময়লা বিকেল হয়ে হঠাৎ উড়ে যায় সবুজ দ্বীপে। ঘন নির্জনের আদরে সাজে বেনামী
ঠোঁট...
উজান
আজ মন বড় অশান্ত। ঘন ঘন বৃষ্টি আর বিদ্যুতের চমক... কোথাও একটা ছেলে সুর
করে পড়া মুখস্থ করছে। টিমটিমে আলোয় রাস্তা খানাখন্দ লুকিয়ে হয়ে উঠেছে মায়া
হরিণী। বিশতলা মহলে সে কি বিভোর নিজের গন্ধে না উঁচু থেকে চোখ পড়ে এখনও
সাধারণ হাফ শার্ট পুরনো ছাতার দিকে। ছায়া লম্বা হতে হতে একসময় সরে যায়
পাঁচিলের ওপারে। জানা হয় না অভিসারের গোপন ইচ্ছা বুকে নিয়ে কেন সে সাবলীল
অভিনয় করে গেল! বৃষ্টিও নেভাতে পারে না চিতার আগুন। প্রিয়জনের বিদায় গলার
কাছে দলা পাকানো নরম শোক হয়ে বিচরণ করে। ধোঁয়ার কুণ্ডলী থেকে যায় জীবনে...
উজানে।
সমাধি
এই মুহূর্তে ঘোষিত হলো বিদায়
যে এসেছিল সাড়ম্বরে আজ তার নিঃশব্দ পদস্খলন
কোথায় যেন দুমড়ে মুচড়ে দিচ্ছে আমাকেও
বলার নেই কিছুই
তৃষ্ণা মিটবে না জেনেও কিছুটা পথ এগিয়ে যাওয়া
বানানের মধ্যে লুকিয়ে থাকা বিচ্ছেদ সঙ্গ দেয়
করিডোরের ফালি আলোতে খুলে বসি
ষড়যন্ত্রের বাক্স
আঁধারে ভূমিষ্ঠ জল সমাধির অপেক্ষায়...