Wednesday, 20 January 2021

অভিজিৎ দাসকর্মকার , কবিতা,সাহিত্য এখন শীতসংখ্যা ২০২০-২১,



 রাবার জমিয়েছি চামড়ার নীচে




উত্তম পুরুষকে অন্ধ বলছো?  অন্য ইন্দ্রিয় দিয়ে দ্যাখো শরীরে ছেয়ে গ্যাছে বিয়োগচিহ্ন। 

এখনো গাছ কামিয়েই রাবার জমিয়েছি চামড়ার নীচে। তৃতীয় গতিপথে সূত্র লিখছে নিউটন নামক ১টি আগন্তুক কণা।
এগুলি অমুলক কল্পনাবাদ। 
                      সবটাই  শুনলেন তাহলে! 

চারিদিকে অভ্যস্ত মস্তিষ্ক এবং পিঠ। পিছু ধাওয়া করছে ধ্যানমগ্ন তর্জনী। কালভার্টের তলা দিয়ে 
পাওডার
    অবশ্যম্ভাবী ডিজিটাল রাস্ট্র
       হিপনোটিক ভাষণ জড়বস্তুর দিকে ঘুরেছে,  এবং মঞ্চের উপর প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে বুর্জোয়া রং।  
মধ্যম পুরুষকে থার্মোমিটার দিয়েছি। পরিস্থিতিকে কেলভিনে মেপো। শ্রেণিগত ভাবে জলের স্ফুটনাং কার্যত পাস্কেলচাপে ভুগছে।

প্রথম পুরুষ এখন কোন উভচর পথে বিশেষণহীন হয়ে দাঁড়িয়ে থেকো, রাস্তার ওদিকে বিবস্ত্র হচ্ছে মানসিকতা। চুপ।
এখন শুধু দ্যাখো...

বান্ধবী তোমার ছায়ার সাথে দাম্পত্য করার ইচ্ছে




অতএব প্রতিটি ঘটনার বিশেষ বিশেষ অংশগুলো তেজস্ক্রিয়, মিররইজম বা ডি এন এ চেন,যাইহোক_____
      অক্সিজেনের উপর নির্ভর করে নগ্ন হয়েছে ঋতুমতী শরীরের দ্বিতীয়দিনেরদশা। তার সাথে সমাজের বহুতলি রৈখিকতা, স্ট্রিং-ছন্দ এবং 
                     পরিষেবা-সীমার বাইরের বান্ধবীর সুডোল অবয়বের ভিতর চোখ, অঙ্গুরীমাল হয়ে যাচ্ছে। 
এভাবে পালটানো আদৎ মেধার অপচয় বা শীঘ্র বায়োলজির পতন। তবুও
             আমরা ঘটা করে রোদ্দুরের ট্যাঁড়া সকালে পতাকার দড়িতে টান দিয়ে উত্তোলন করবোই। 

বান্ধবী তোমার ছায়ার সাথে দাম্পত্য করার ইচ্ছে____

গত দু'বছর ধরে  আগষ্টমাসগুলোয় কিছুক্ষণ পরপর লালামিশ্রিত গর্জন করেছে শব্দভাঙন। রাতের সহশয্যায় স্খলন জল ভেঙেছে , তাই
       পৃথিবীর আয়তনের দিকে তাকালে পুরুষকে বিষণ্ন মগজের হিসেব না-মেলার সরীসৃপ মনে হয় ————


কেরোসিন তেলের সর্বনাম ধরে 
 
 

স্পষ্ট হয়ে উঠছে নিদারুণ সরীসৃপ আচরণের বিকেল 
   বুঝতে পারছি passive voice-এ বিবর্তিত গলার জৌলুসে হাট করে খুলে যাচ্ছে ঘরের ভিতরের ক্যাপিটালিজম 
  হাত-পা ছড়িয়ে গণতন্ত্র জড়ো করছি। গত মাসে ৫ কেজি স্বর্ণ চাল দিয়েছিলো ক্রেতা সমিতি।

আরও অনেক noun, pronoun এবং ১ মিটার দুরত্বে আগন্তুকের fill in the blanks_____
    এসব বিজ্ঞাপন বিরতিতে কথা বলতে বলতে ক্রোমোজমের সলতে উসকে দিলাম। আয়নার সামনে নিজেকে প্রতিবিম্বিত হতে দেখছি। শরীরে উলঙ্গ সূত্রগুলো এদিকে ওদিকে ছুটছে
  পাপোশ নেই। পোশাক নেই। অন্য শরীরের সাথে সুদূরপ্রসারী কোনো মিল নেই। 

অথচ আঙুলের রোমিওপনায় খাতায় শুয়ে থাকা ক্লান্ত উপপাদ্যগুলো খুশবুদার হয়ে উঠেছে,  আর
  এই শরীর। চুলে দেয়া শ্যাম্পু। 
সব ২লিটার কেরোসিন তেলের সর্বনাম ধরে প্রতিবাদের মিমিক্রি করে চলেছে ___



জেনারেশন-গ্যাপ তৈরি করে চলেছে

স্বতন্ত্র নদী আর জলে ঝকমকে ধস্তাধস্তি 
চারিদিকে গুপ্তস্রোত শতাব্দীর হাত ধরে চলছে। শতাব্দী কোন প্রোটাগনিস্ট নয়। ১টি সহজাত প্রেম, যার
  ২টি চোখ, ১টি গোল বৃদ্ধ টিপ, 
   ২টি আনন্দদায়ক স্তন, অওরত কী খুশবু, তারপর পেট
পেটে ৩টি সামুদ্রিক ঢেউ, 
ধূস শালা! মাথার মধ্যে হাংরি জেনারেশন-গ্যাপ তৈরি করে চলেছে। 

এর থেকে 
আমার অভিশাপগুলো অনেক ফোর্সফুল। রাতের ভারি ভারি কথাগুলো যদিও সকালে ফালতু হয়ে যায়। 
আজন্ম কপালের লিখনগুলো ক্যামন না-জানা, না-বোঝাই রয়ে গ্যালো, কারণ 
এর ভাষা বাংলায় নয়, অ্যালিয়াম-রসের___


*



1 comment:

  1. পড়লাম। ভালো লাগল তিনটে লেখাই।

    ReplyDelete