লকডাউনের কবিতা
১
গেড়ু একটি বাবার নাম। গেড়ুর একটি হাত নেই। গেড়ুর ঘরে বৃদ্ধ বাবা, বৌ আছে। লকডাউনে গেড়ুর সামান্য বেতনের কাজটা নেই। খিদে কি বোঝে লকডাউন? বাড়িতে মেয়ে-ছেলে না খেয়ে তাই গেড়ু এখন রাস্তা-ধারে বড় মহুল গাছটার নীচে বসে ফুল কুড়ায়। এক ব্যাগ মহুল ফুল কোন একজনকে দিলে সে গেড়ুকে কিছু টাকা দেয়।
২.
মৈনি ক্ষেপি। একজন ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধা; নামোপড়ায় থাকে। মানসিক ভারসাম্যহীন। মাচিস বাক্সর মতো একটা ঘরে বেঁচে আছে মৈনি। ঘরভর্তি পুটুলি। মৈনি সারাদিন পুটুলি বানায়। মানুষের কাছে হাত পেতে পেট চলে।
লকডাউনে রাস্তা-ঘাটে মানুষ নেই। খিদে পেলে মৈনি কার কাছে হাত পাতবে?
দারুণ লাগল লেখা।
ReplyDeleteএগুলো শুধু কবিতা, কয়েকটা লাইন নয়... প্রতিটি অক্ষরে মানুষের জীবন জড়িয়ে আছে... এভাবেই মানুষের কবিতার জন্য কলম চলুক...লোক জানুক এই মানুষগুলোকে, বুঝুক তাদের দুঃখ কষ্ট, দাঁড়াক তাদের পাশে
ReplyDelete