পৌরাণিক
মন্দিরা ঘোষ
আমাদের পৌরাণিক মাটির বর্ণমালা,
ফুলের গর্ভচক্র, পাখিদের ঔরস থেকে
শিখে নিতে হবে জারজ জন্মের ভূমিকা
শিখে নিতে হবে অনার্য রমণীর ভাষা
তাদের সুমেরুশিখরে ফুটে থাকা বনের আলো
উদ্ধত পুরুষাঙ্গে শাসনের দাসখত
এখনো ডিঙি নৌকার ঘামে
হেসে ওঠে রঙিন বালিমাছ
চতুরতাহীন জলাশয়ে নেমে আসে
ভোরের মেখলা
ওইসব পাথুরে সমাজের গন্ধ
ইতরের ধুলোস্নান মেখে নিতে
জলীয় বাতাস ডাকো
আদিম আয়োজনে উল্কির মতো
শিশুদাগ গাঁথো
এসবই অন্ত্যজ বিকার ভেবে ফিরিও না চোখ
আমাদের উলঙ্গ বিছানায় সঙ্গমের
নড়বড়ে সেতু
পেরোতে পেরোতে জন্ম ছিঁড়ে যায়
আজো খাজুরাহো বেয়ে নেমে যায় দ্রাবিড়ের ঘাম
কুর্চির স্নেহে ডুবে আছে বক্ষজ আঁধার
শিশুর গায়ে সোনালি রোদের জামা
জ্যোৎস্নাঠোঁটে একা একা কিশোরী কুড়োয় মেঘ
সমস্ত নক্ষত্র বুকে রাত রাত সাহসী পুরুষ
দূরে ফসলের আলোয় ডুবে আছে
ঘরনীর সাধ
এসবই নৈমিত্তিক প্রলয়ের রং
এ বৈদিক ঘুম ভেঙে গেলে
যজ্ঞঘরে খাক হোক মহাবৃত্তের কূটখতিয়ান
কাব্যনিপুণতায় ভরপুর !
ReplyDeleteধন্যবাদ
ReplyDeleteআর্য ভাষ্যে নিখুঁত অনার্য আখ্যান! দারুণ!
ReplyDelete