Sunday, 18 February 2024
শুভঙ্কর দাস
Friday, 16 February 2024
সবর্ণা চট্টোপাধ্যায়
লেখারা যখন পাল্টে যায়
প্রতিটা পর্বের পর নতুন অধ্যায়ে
অভিজ্ঞতা বদলে দেয় ভাষা।
এ কি স্বঘোষিত মৃত্যুঘোষণা?
ছটফট করে ধূসরতা,
রোদে ভেজা নিরীহ দুপুর
ছেঁড়া ঘুড়ি হয়ে গেঁথে আছে।
পর্দার ফুটোয় অপেক্ষা চোখ !
বন্ধ দরজায় টোকা পড়ল?
সাতজন্মের ডাক-
মার্চ শেষ হতে চায় না আর,
আশ্চর্য ফুল হয়ে ফোটে নির্বাক সন্ধেরা।
ভালোবাসা মরে গেলে যুদ্ধ বাধবে যে…
তুমি আছো তাই কৃষ্ণচূড়ায় ছেয়ে আছে পথ,
কত শান্তি চারদিকে,
কবিতা লিখতে লিখতে ঘুমিয়ে পড়েছে যেন কোনও কবি!
Thursday, 15 February 2024
তিলোত্তমা বসু
হলুদ পাতা
Tuesday, 13 February 2024
রূপক চট্টোপাধ্যায়
Sunday, 11 February 2024
দেশিক হাজরার কবিতা
জ্ঞানেনং গচ্ছামি
Thursday, 8 February 2024
অমিতাভ দাশশর্মার কবিতা
চলে গেলে! যাও।
সেই শিল্পীর
Wednesday, 7 February 2024
অসীম কুমার চক্রবর্তীর কবিতা
সন্তান
Shyamal Kanti Das
Chaitali Chattopadhyay
Afghanistan 2
Chaitali Chattopadhyay
Translated by Shyamashri Ray Karmakar
The Gun has aimed the quiet back.
The Gun is killing the songs.
The Gun is destroying abodes and
The Gun is tearing apart truth.
The Gun is erasing the story scripted on the celluloid.
The Gun is throwing away all the laughter, that are feminine.
The Gun has picked up the art, the art that once created the serene...
The Gun has spread the thorns on the wide road...
The Gun will commence its speech, others will fall asleep...
The Gun has kissed the dead forehead, an endless kiss...
Friday, 2 February 2024
সোমা দত্তের কবিতা
নবজাগরণ
বলেছ অসুর, বলেছ রাক্ষস, বলেছ প্রেত, কালো নিগার–
সেই আঘাতের গর্ত ভরে, হিরণ্ময় আলো জ্বেলে,
হত্যার মন্ত্র গেয়েছ জন্ম থেকে জন্মান্তরে,
এক রং থেকে বর্ণাঢ্য প্রাকৃতিক দৃষ্টিহীনতায়।
ভুলে গেছ নগর সভ্যতার আদিরস তাণ্ডব...!
অন্ধকার চিরে আলো জালিয়েছ আর্যসভ্যতার...!
ধ্বংসের আস্ফালনে স্ফীত রাজা তুমি –
রক্তপথে বিজয়তোরন উড়িয়েছে তোমার মধুযামিনী।
কলিঙ্গফলকে তোমার বিলাপ শুনেছি রেশমের সংলাপে,
চাঁড়াল হৃদয় থেকে সরে গেছে চারণের গান–
তবু ভালবাসা গাছের বুকে চাঁদের আলোর মতন জ'মে,
তবু ভালবাসা ক্ষীণ হাতে মায়ের শরীর ঢেকেছে কাপড়ে,
তবু ভালোবাসা পণ রাখে মুখোশের মুখটিকে দেবে শেয়ালের মুখে–
অতিগূঢ় লাঞ্ছনায় রক্তাক্ত শরীরে, শুরু হবে কৃষিকাজ।
Saturday, 4 November 2023
সৌ র ভ ব র্ধ ন
Thursday, 2 November 2023
অমিতাভ দাশশর্মা
এলোমেলো
মধ্যবর্তী আমাদের
তিরিশটি বছরের
ট্র্যাজেডি, তার
বিপুল ডানার
ঝাপটায়, মরু দ্বার খুলে,
ধুলোঝড় তুলে
ঢেকে দিয়েদিল পথ,
আর--- ছোঁয়ার শপথ।
অনুভব--- শুধু অনুভবে
অরবে
অনর্গল করে চৈতন্যের দ্বার।
তোমার --- আমার
লাবন্যের সংসারে
শিশু ও কিশোরে
ছিল সোনাঝরা
মধুক্ষরা
দিন ও রজনী।
কিন্তু, প্রেমমণি?
খুঁজে ফিরে ফিরে যাকে
বাতুলতা পাকে
জড়িয়েছি নিজেকে নিজেই,
তার নাম গন্ধ নেই
সংসার লাবন্যে।
এ জন অরন্যে
নিজের জন্যে
বাঁচা খুব প্রয়োজন।
তাই ,
তোমাকে পাবার এত
আয়োজন।
বুঝলে না!
ফেলে দিলে!
বিশ্বাস হয় না।
উপেক্ষা গয়না
যত পরাও আমাকে---
বাঁধো পাকে পাকে
প্রেমের বাঁধনে।
জানে
মন , যথাযথ জানে,
প্রেম কাকে বলে, তার মানে।
Wednesday, 30 August 2023
দেবশ্রী মজুমদারের অণুগল্প
ক্রুশবিদ্ধ
একভাবে এতটুকু জায়গার মধ্যে কাঁহাতক আর শুয়ে থাকা যায়! এপাশ ওপাশ করলেও সস্তা কাঠের বাক্সটা ক্যাঁচকোঁচ শব্দ করে ওঠে। হাড়ের মধ্যেও ঠকঠক শব্দ হতে থাকে। তার চেয়েও মুশকিল হয়, বৃষ্টি হবার পর। বৃষ্টির জল আস্তে আস্তে মাটি ভিজিয়ে দেয়। কাঠের বাক্সটার উপরটা ভিজে স্যাঁতস্যাঁতে হয়ে যায়। একটা অদ্ভুত বিদঘুটে দুর্গন্ধ বেরোতে থাকে। আর কতো ধরণের পোকামাকড় এসে আশ্রয় নেয় সব এখানেই। সব মিলিয়ে কেমন একটা গা ঘিনঘিনে ভাব। তার ভালো লাগে না। কোন কিছুই আর আগের মতো নেই। এই ছয়মাস ধরে এটাই এলিজাবেথের চিরস্থায়ী ঠিকানা। এর থেকে মুক্তির উপায় নেই। নাকি জীবন থেকে চিরতরে মুক্তি পেয়েই তার এই কবরস্থানে ঠাই হয়েছে? সে ভাবে, কিন্তু ভেবেও কূলকিনারা করতে পারে না।
চার্চ থেকে বাড়ি ফেরার রাস্তা, রাস্তা থেকে পুলিস স্টেশন,সেখান থেকে হাসপাতালের পোস্টমর্টেম ওয়ার্ড। সেখানেও অনেকক্ষণ ধরে কাটাছেঁড়া । তারও একদিন পর তাকে এখানে আনা হয়। আর তারপর থেকেই একটানা এলিজাবেথ এখানেই থাকে।
হোলি ফ্যামিলি চার্চ এর ট্রেজারার ছিল এলিজাবেথ রোজারিও। থাকদাড়ি রোডের উপর মিশন বাজারে ছিল ছোট্ট এই চার্চটা।
সেদিনটার কথা এখনও মনে পড়ে তার। সেদিন পাম স্যাটারডের আগের দিন । ইস্টার, ক্রিসমাস এর আগে সব সময়ই এলিজাবেথের কাজের চাপ বেড়ে যেত। নতুন করে সব কিছু রঙ করা, সাজানো গোছানো, লাইট, ক্যাণ্ডেল কেনা সব খাতেই অনেক খরচ এবং একইসাথে চার্চের সদস্যদের চাঁদার হিসাব মেলাতে মেলাতে চার্চ থেকে বেরোতেই প্রায় দশটা বেজে গেছিল। একটু রাত হয়ে গেলেও সেদিন সে ভয় পায়নি। ছোটবেলাতেই যারা মা বাবাকে হারায়, তাদের বোধহয় কোন কিছু নিয়েই আর চিন্তা ভাবনা হয় না। জমা খরচের হিসাব মিলিয়ে মনের আনন্দে বাড়ি ফিরছিল সে। বাড়ি ফিরে চিকেন স্যুপ বানাবে,আর তার সাথে ভালো জমবে বলে একটা গার্লিক ব্রেড কেনার জন্য মিশন বাজারের কিন্স বেকারিতে ঢুকেছিল এলিজাবেথ।
তেত্রিশ বছরের যুবতী এলিজাবেথের মনটা সেদিন অকারণেই একটু বেশি রকমের ফুরফুরে ছিল। ইস্টারে তার কাজিন ভাই বোনদের জন্য কি কি কিনবে,মনে মনে সেই সব প্ল্যান করছিল। আচমকা তার খুব কাছ ঘেঁসে একটা আকাশী রঙের মারুতি ওমনি এসে দাঁড়াল। গাড়ির পেছনের দরজাটা খুলে দু-তিন জন মত্ত যুবক তাকে এক ঝটকায় চলন্ত গাড়ির মধ্যে টেনে নিল। এলিজাবেথ জীবনে প্রথমবার সেদিন একসাথে যৌবন আর মৃত্যুর স্বাদ পেল। তার মরে যাবার শেষ এক ঘণ্টার কথা সে আর মনে করতে চায় না। বেঁচে থাকতে মরণ যন্ত্রণা পাওয়া যেমন দুর্বিষহ, মরে গিয়েও জীবন যুদ্ধের তীব্র কিছু বেদনা ভুলে যাওয়াই ভালো।
এলিজাবেথ ভাবল, এখন সে অনেক ভালো আছে। তার শরীরে এখন আর কোন মাংস নেই, মেদ নেই, স্তন নেই, যোনি নেই। শুধু আবছা আলো আঁধারে ঘেঁটে যাওয়া চেতনা বেঁচে আছে। সেজন্যই এখনও মাঝে মাঝে তার মন কেমন করে। অন্য কবরের সামনে যখন সে দেখে তাদের প্রিয়জনেরা এসে দুদণ্ড বসে, ভালোবাসে, চোখের জল ফেলে,কবরের সামনে ফুল রেখে চলে যায়,নির্জীব হাড় সর্বস্ব এলিজাবেথের শরীরটার তখন কান্না আসে। শোভাহীন হয়ে পড়ে থাকে সে।
এসব হাবিজাবি ভাবতে ভাবতে এলিজাবেথ টের পায় হঠাৎ আকাশ কালো করে প্রবল ঝড়। ঝড়ের তাণ্ডবে এলিজাবেথের কফিনটাতেও যেন কাঁপন লেগে যায়। কাছেই ছিল একটা তালগাছ । সেটার কয়েকটা তালপাতা এসে পড়ে এলিজাবেথের কবরের কাছে। পরম আনন্দে এবং দুঃখে এলিজাবেথের মনটা কানায় কানায় ভরে ওঠে। পাম সানডেতেই সে যে এখানে প্রথম এসেছিল।
__________________________
Thursday, 3 August 2023
কাজরী বসুর কবিতা
Saturday, 22 April 2023
দেবশ্রী মজুমদারের গল্প
অপ্রয়োজনীয়
নীল রঙের চেক লুঙ্গিটায় পাক দিয়ে পেটের কাছে গুঁজতে গুঁজতে সাত পাঁচ ভাবছিলেন চিন্ময়বাবু । এই বাড়িটাতেই কেটে গেছে জীবনের বেশিরভাগ সময় । এক সময় বৌ, দুই মেয়ে, মা সবাইকে নিয়ে একসাথেই কাটাতেন এখানে । অভাব, কম অভাব, বেশি অভাব – সব রকম পরিস্থিতির মধ্য দিয়েই আর পাঁচটা মধ্যবিত্ত সংসারের মতই সাদামাটা জীবন ছিল তাদের । একটা ধরা বাঁধা চাকরির শখ থাকলেও অকালে বাবা চলে যাওয়ায় বেশি দূর পড়াশুনা করতে পারেননি তিনি । অগত্যা সেজ কাকার ব্যবস্থা করে দেওয়া একটা চায়ের দোকানের মালিক হয়েই সারাটা জীবন বেশ কাটিয়ে দিয়েছেন । সকাল বিকালে জমজমাট আড্ডা বসত তার দোকানে । অনেকসময়ই লোকজনের গল্প গুজবে কানে তালা লেগে যেত তার । কারো কারো গল্প শুনতে ভারি মজাও লাগত । একবার পাড়ার বৃদ্ধ সনাতন বাবুর একটা কথা এখনও খুব মনে পড়ে । ভোজনরসিক বুড়োকে একবার তিনি ডাবল ডিমের মামলেট করে দিয়েছিলেন । অন্যমনস্কতায় নুনের পরিমাণটা খানিক বেশি হয়ে গেছিল । মুখে দিয়েই সনাতন বুড়োর চক্ষু চড়ক গাছ । সেদিন তৎক্ষণাৎ তিনি বলে ওঠেন, “ওহে চিনু, তোমার থেকে বয়সে আমি অনেক বড়, তাই একটা উপদেশ দিই, ভালো করে শুনে রাখ ভায়া, সারা জীবন তা মেনে চলার চেষ্টা কোরো । প্রয়োজনের থেকে কোন কিছুই বেশি দিতে নেই, যদি দাও, তাহলে তা বিস্বাদ হয়ে যায় । কথাটা মনে রেখো । ”
সেই সময় কথাটার পুরো মানে তিনি বোঝেননি । বুঝেছেন অনেক পরে, বয়স বাড়ার সাথে সাথে । যাক গে, এসব ভেবে এখন আর কাজ কি ! দুপুরে খাবার পর চিন্ময়বাবুর কোনদিনও ঘুম আসে না । তার এই একার জীবনে পুরনো স্মৃতি হাতড়ে যা একটু সময় কাটে । এই করতে করতেই দুপুর গড়িয়ে বিকেল, আর বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যে আসে ।
দিনের অনেকটা সময়ই এভাবে কেটে গেল । এবার তাহলে একটু লিকার চা করে খাওয়া যাক । ঢিলে হয়ে যাওয়া লুঙ্গিটা আবার একটু প্যাঁচ দিয়ে ঠিক করতে যাবেন, ঠিক তখনই দরজায় কে যেন একটা আলতো টোকা দিল । এ সময় কে আবার এলো রে বাবা ! বড় মেয়ে তো মালদায় থাকে। তার আসার প্রশ্নই নেই । আর ছোট মেয়ে পাশের পাড়াতে থাকলেও ও সবসময় দিনের বেলাতে এসে ঘণ্টা খানেক থেকেই বিদায় নেয় । এসব ভাবতে ভাবতে চিন্ময়বাবু দরজাটা খুললেন । খুলে তো অবাক হয়ে গেলেন । “আরে হরি, তুই অ্যাদ্দিন বাদে ! আরে আয় আয় , ভেতরে ঐ চটি পরেই চলে আয় । ” তাড়াতাড়ি করে একটা স্টিলের ফোল্ডিং চেয়ার পেতে হরিকে বসতে দিলেন ।
- “আসলে এদিক দিয়ে ভাইপোর বাড়ি যাচ্ছিলাম, ভাবলাম তোর সাথে একবার দেখা করে যাই । কি খবর বল তোর ? আছিস কেমন ? ”
হরি চিন্ময়ের অনেক পুরনো বন্ধু । তার চায়ের দোকানে আগাগোড়া সে হরির কাছ থেকেই নেতাজী বেকারির কেক, বিস্কুট , পাউরুটি নিত । শীত, বর্ষা, গরম -যাই হোক না কেন রোজ সকাল সাড়ে ছ’টা থেকে পৌনে সাতটায় ও ঠিক চলে আসত । তারপর চা খেয়ে চটজলদি একটু গল্প সেরে আবার বেকারির ভ্যান চালিয়ে চলে যেত অন্য পাড়ায় ।
-“কি রে কি এত ভাবছিস ? তোর মেয়েদের খবর কি ? দাদুভাই, দিদিভাইরা কেমন আছে ? ”
-“কিছুই তেমন ভাবছি না রে । তুই বরং বল, তোর সেই নেতাজী বেকারির মালিক, কি যেন লোকটার নাম ? তার কি খবর ? ”
-“আর বলিস না, সে তো কবেই ঐ বেকারি বিক্রি করে দিয়ে দেশে চলে গেছে । তারপর আর খোঁজ রাখি না । শোন এবার উঠি তাহলে, ভাইপোর সাথে দেখা করে বাড়ি ফিরতে হবে । এখন আর অন্ধকারে তেমন ঠাহর করতে পারি না । তুই একবার আসিস আমার বাড়ি । মিনিট দশেকের তো হাঁটা পথ । ”
দিন তিনেক পরে চিন্ময়বাবুর কুমড়োশাক খাওয়ার ইচ্ছে হল । ভাবলেন সকাল সকাল বাজারে গিয়ে একবার দেখা যাক , যদি মনমতো টাটকা শাক একটু পাওয়া যায় । ছোট একটা বাজারের থলি হাতে অশক্ত শরীরে বাড়ি থেকে বেরোলেন । আজকাল আর আগের মতো রোজ বেরোতে পারেন না । একটু হাঁটার পরই গলির মুখে দেখা হয়ে গেল হরির ছোট ছেলের সাথে । দেখামাত্র সাইকেল থেকে নেমে পড়ল ও । কি যেন ওর নামটা ? অনেক চেষ্টা করেও কিছুতেই মনে পড়ল না । হরি অনেকসময় ছুটির দিনে ওকে নিয়ে আসত তার চায়ের দোকানে । ডিমের পোচ খেতে ভারি ভালবাসত ছেলেটা ।
ছেলেটা এগিয়ে এসে সামনে দাঁড়াল । বলল, “ কাকা একটা খবর আপনাকে জানানো হয়নি । আপনার বাড়ি ক’দিনের মধ্যেই যেতাম । আসলে আপনার শুনলে খুব খারাপ লাগবে । আজ দশদিন হল, বাবা আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন । প্রায় একমাস বিছানায় পড়ে ছিলেন । ওই ওখানেই পেচ্ছাপ, পায়খানা সবই করতেন । আসলে বাবা বলে বলতে খুব খারাপ লাগছে । ওভাবে বেঁচে থাকা, চোখে দেখা যায় না । একদিকে ভালোই হয়েছে । ”
চিন্ময় বাবুর মাথার ভেতরটা তোলপাড় করতে লাগল । অনেক কথা একসাথে বলতে চাইলেন । তাহলে গত পরশু নাকি তার আগের দিন হরি যে এল, গল্প গাছা করল । কিন্তু ওর ছেলে একি কথা বলছে ! সবকিছুই কেমন তালগোল পেকে যাচ্ছে । একটা শব্দও তার মুখ থেকে বেরোল না । ছেলেটা আরও কত কি বলে চলল কিছুক্ষণ । সে সবের বিন্দু বিসর্গও তার কানে ঢুকল না । ওখানেই আরও কিছুক্ষণ হতভম্বের মতো দাঁড়িয়ে থাকলেন তিনি । কি যেন একটা কেনার জন্য বেরিয়েছিলেন , তাও মনে করতে পারলেন না । বাজারের থলিটাকে কোনভাবে খামচে ধরে তাড়াতাড়ি বাড়ি ফেরার পথ ধরলেন । হরিকে বসবার জন্য একটা স্টিলের ফোল্ডিং চেয়ার বার করে দিয়েছিলেন । বাড়ি পৌঁছে ওটা এখনও ওখানেই আছে কিনা তা দেখার জন্য উদগ্রীব হয়ে উঠলেন তিনি ।
________________
Sunday, 16 April 2023
মিঠুন চক্রবর্তীর কবিতা
Friday, 7 April 2023
দেবদাস রজকের কবিতা
প্রেত
আজ কি প্রেতেদের সম্ভাষণ হবে?
আমি এসেছি ভোররাত্রে হৃদয় অকেজো হয়ে।
দেহ এখনও কবরের নিচে, শিয়াল কুকুরে খায়নি সবটা
মায়া নেই কোনও, যাক ছিঁড়ে পিত্তথলি, গুঁড়োহাড়, যাক সব
আজ কি প্রেতেদের সম্ভাষণ হবে?
আমি এসেছি ভোররাত্রে নিজের এলাকায়
শুধু দেখি দূরে বহুদূরে কেউ টেবিলল্যাম্প জ্বালিয়ে
কবিতা লিখছে যার আয়নার ভেতর কোনও দেহ নেই