Wednesday, 25 September 2024

অঙ্কুশ পাল

 

 


 

আত্মবিক্রি ভ্যারাইটি স্টোর



ঠিক যেভাবে মাটির ভাঁড়ে

জমিয়ে রাখা খুচরো খুচরো পয়সা গুলো

ভেঙে ফেলে ছড়িয়ে দিই সবার মধ্যে

নিজেকে ঠিক তেমন করে 

ছড়িয়ে যাই লোকের হাটে 

হয়তো লেখা, হয়তো ছবি, হয়তো গানে

বিক্রি করি নিজেই নিজের নিজস্বকে


আমার গলায় বাজতে থাকে

বেচে ফেলার রাষ্ট্রগীতি

কেউ কিনে নেয়, কেউ চলে যায়

কেউ তাকিয়ে, মুখ ঘুরিয়ে, আসছি পরে

বলে চলে যায়


দিনের শেষে আমার গায়ে লেগে থাকে হাজারটা চোখ 

আমিও পণ্য, খুব সামান্য দামেই যেমন বিকিয়ে যাই

গা থেকে চোখ যেই সরে যায়, হারিয়ে যাই অতল ভূঁয়ে


আমি তো চাই সবাই দেখুক বিলবোর্ডের ওই ডিসক্লেমারে

“চোখ যেন ভাই লেগেই থাকে,

চোখ যেন না সরতে পারে”


ফেসবুকের ওই প্রোফাইলটা তো আত্মবিক্রি ভ্যারাইটি স্টোর!



Thursday, 5 September 2024

রাজীব মৌলিক

 


দুটি কবিতা 


স্পর্শ 



আর একটু কাছে গেলে যদি ছোঁয়া যায় বৃষ্টিফুল
মেঘ মেয়ের জোছনা ধোঁয়া ছাতিম বুক
কালো চোখের মণির লজ্জাবতী শোক
কাছে যেতে চাই 

ছুঁতে চাই দক্ষিণা হাওয়ায়
ভেসে যাওয়া হলদে পাখির
স্নানঘরের সাবান, গন্ধ মাখা চুল
বেদনার বীজ থেকে যে-সব বিশুদ্ধ রক্তজবা
গঙ্গা ফড়িংয়ের মতো মিশে যাচ্ছে জলে
তার সহজ বেদনা ভেঙে ভেঙে দেখি

আর একটু কাছে গেলে যদি ছোঁয়া যায়
পবিত্র তটিনী, স্রোতে ভরা দোঁহা,রাগ

কাছে যেতে চাই ; দেহ মানুষের গন্ধ বোঝে আর
ফুল বোঝে প্রজাপতি মুখ
 
 
 
 পোষ্য



মানুষ শখ করে টিয়াপাখি পোষে
কেউ কুকুর পোষে 
বিড়াল পোষে
বাঘ সিংহ হায়েনা কি-না পোষে

অদ্ভুত লাগলেও তারা মালিকের কথা বোঝে
সহজেই পোষ মেনে যায়
মালিকের বিশ্বস্ত শিষ্য হয়ে ওঠে

অথচ আমি এ-সবের কিছু পুষিনি
আজীবন নিজেকে পোষ্য করতে চেয়েছি

আর নিজেকে পোষ্য করতে গিয়ে দেখি
আমার মতো অবাধ্য দ্বিতীয় কিছু নেই




নিশীথ ষড়ংগী


 



স্তব


গোপনীয়তার শাখা প্রতিদিন ভরে‌ ওঠে রোমাঞ্চ পল্লবে
শিরোধার্য অন্ধকারে ত্বক থেকে ত্বকে কতো  শেড ও
শেফালি 
সম্ভাবনাময়....

আত্মকৌতুক নয়,স্মিত প্রুফ, দেখতে দেখতে 
ঘন্টা মিনিট পার হয়
এক জীবন কতোটা দীর্ঘ আর বলো!
ঝিম ধরা কাচের লন্ঠন --

জমাট দোতলা, সিঁড়ি, ঘুরে ঘুরে উঠেছে ওপরে 
সংহত খিলান,ধাপ,প্রশ্রয় রক্ষা করা অনুযোগহীন
চিলেকোঠা

নীরবতা যোগ্য হয়ে ওঠে রাত্রিদিন....