Saturday, 22 May 2021

সুপ্রভাত মেট্যার কবিতা

 




অশ্রু খুশি


ভোর হলেই আমি চোখ ফিরে পাই।
ধুলোর উড়ে যাওয়া দেখি, গ্রামের পথ জুড়ে
আর পাখি শব্দের হই।
আমার সমস্ত বালক-জীবন ,ধান ক্ষেতের মধুর উল্লাসে যেন নেচে নেচে ওঠে!
রবীন্দ্রগানের সুর ভেসে যাই, আর রঙিন হয়ে পড়ি।

স্মৃতি কিছু উসকে না-দেখাই ভালো ।
বুকের উপর দিয়ে পিষে যাওয়া চাকার গাড়ি
আমাকে রাস্তা দেখায়। সেই রাস্তায় আমি পথ হাঁটি।কবিতা ওড়াই।  কষ্ট পাই খুব । আর
নোনা সময়ের সেই কষ্টেের ভিতর দিয়ে, হাসতে গিয়েও দেখি, অশ্রু-খুশির আমার জল নেমে আসে।তাই সময় পেলেই তোমাকে লিখি।
ভেতরের সমস্ত অন্ধকার কথাগুলি আমার ,
সত্যের পাথরে ঘষে - মেজে মস্তিষ্কে তুলে রাখি। আর কখন একটা নিজস্ব আলোর হয়ে যাই জীবন ।

Friday, 21 May 2021

পল্লব তেওয়ারী

 





রোজনামচা



সকালের জলযোগে
পানীয় মিশিয়ে রাখি,
মধ্যাহ্নকালীন ভোজে
মেছোগন্ধ লেগে।

ফসলের মাঠ পোড়ে,
সতর্কে নারীর কান
বিষাদের কাছাকাছি
শতচ্ছিন্ন ওড়ে।

গর্জনের মধ্যরাতে
নেই চলাচল,
সুতীব্র কান্নায় তাই
কন্ঠে ধরেছি হলাহল।    

রবীন বসুর কবিতা






 ব্যথার জ্যোৎস্না 



যদি আসো তোমার পাশে বসি

আমি তো সেই তোমার চেনা পড়শি।

এতদিনের জানাশোনা সব কি

হতে পারে এমনতর মেকি!


যদি আসো তোমার পাশে বসি

আগের মত গল্পগাছা করি,

সেই যে গেলে আর না কভু ফিরলে

দুঃখ নিয়ে তোমাকেই যে স্মরি।


সুজন আমার বন্ধু আমার, তুমি

ফিরে এসো আমার উঠোন পরে,

গলা ধরে গানের স্রোতে ভাসি

স্মৃতির ঘন্টা অন্ধাকারে নড়ে।


হাওয়া বয় পাতা খসে যেন

সময় শুধু পুরাতন হয় কেন?

বুকের মধ্যে কারা নড়ে চড়ে

আবছা সব ঠাওরে না পড়ে।


তোমার কথা তোমার ছবি জাগে

আমার সকল আকুলতার মাঝে,

শিউলি যেন অবহেলায় ঝরে

আমার শূন্য একলা উঠোন পরে।


তুমি এসো ফিরে এসো বুকে

আরোগ্য হও কঠিনতর অসুখে।

আমার পরান তোমার জন্যে কাঁদে

তুমি আমার ব্যথার জ্যোৎস্না চাঁদে!