Showing posts with label কবিতা. Show all posts
Showing posts with label কবিতা. Show all posts

Wednesday 6 January 2021

বৈজয়ন্ত রাহা,কবিতা,সাহিত্য এখন শীতসংখ্যা ২০২০-২১,

 



এই লোকটা

 


 

এই লোকটা

একলা কেন জলের নেশা মাখো

পদ্মপাতায় আকাশ ভরা তারা

গুছিয়ে সব নদী এবং সাঁকো

যেখানে ছিল, ঠিক সেখানে রাখো।

 

কেন এমন একা একাই থাকো

 

এই লোকটা,

পাহাড় খুলে , হাজার বৃষ্টি ঝাঁকও

অকারণেই চোখের জলে ডাকো

পথের ধারে অচেনা হাতছানির,

মিথ্যে মেঘের ঘাড়ঘোরানো বাঁকও

যেখানে ছিল, ঠিক সেখানে রাখো।

 

নিঃস্বটুকু পারলে নাহয় আঁকো।

সঞ্জয় কর্মকার,কবিতা,সাহিত্য এখন শীতসংখ্যা ২০২০-২১,

 

       



      

 

 অন্ধকার ও প্রেয়সী

                       

                                         

প্রাগৈতিহাসিক মেঠো পথ পেরিয়ে এসে একা আমি দাঁড়িয়ে আছি

নিভু রোদের স্তম্ভ ছুঁয়ে।

পায়ের নীচে নো-ম্যানস্ ল্যান্ড,

সামনে নিস্তরঙ্গ ত্রিমুনিখাল চুপিসারে বয়ে যায়

সন্ধের কাছে একান্ত আলাপচারিতার আশায়।

অদূরে রাধা-গোবিন্দর মন্দির

মুহুর্মুহু নাম সংকীর্তনের ধ্বনি ওঠে ভালবাসার প্রলেপে

জীবনের সহস্র ক্ষত ভরাট করার কামনায়।

তিরতির করে নিকষ অন্ধকার নামলে বাতাসে ভেসে আসে

একদল ক্ষুধার্ত যুবকের কুমারীচর্চা

ওদের প্রেয়সী নেই।

আকস্মিক সময়-দূরত্বের পাটিগণিত ভুলে

আমি ফিরে যাই আমার ফেলে আসা প্রেয়সীর ঘরে

যেখানে রোজ গোপনে রচিত হয়

 চড়ুই পাখিদেরও মিলন কাব্য।

ঝিলম ত্রিবেদী,কবিতা,সাহিত্য এখন শীতসংখ্যা ২০২০-২১,

 



হলুদ-সবুজ




ঘন সবুজ শাড়িতে মোর
হলুদ ব্যথার পাড় দিস
ভ'রে উঠুক নয়ন জুড়ে
অন্ধকারের লাল শিষ

ফুল ফুটুক চাঁদ উঠুক
বেদনা হোক সুদারুণ
আঁচলে চন্দ্রিমার রঙে
নিশি থাকুক অকরুণ

সন্ধে হয় সন্ধে হয়
শাড়ির পাড়ে জ্যোৎস্না বয়
ছাতিমফুল আকাশতোড়া
আমার কাছে আয় সই-

তোর হাতের শীতলতায় হারিয়ে যাক চোখের জল
ঘন সবুজ শাড়ির ধারে হলুদ ফুল কুড়োই চল..............

Monday 4 January 2021

মারুফ আহমেদ নয়ন, কবিতা,সাহিত্য এখন শীতসংখ্যা ২০২০-২১,

 



শিকার পদ্ধতি

একটা শিশুর শ্বাস-কষ্টের দিন তোমার দিকে উড়ে যাচ্ছে। তুমি কোমল হও। যেন ফুল ঝরে যাবে, জানবে না গাছটির পাতাও। তবুও অন্ধকার, রমণীর কান্নার স্বরে ক্রমশ ভারী হয়ে উঠবে বাতাস। আর একটা নষ্ট ঘড়ি ভুল সময়ের উপর দাঁড়িয়ে থাকবে।
ফলশ্রুতিতে আমি তোমার দিকে ধাবিত হবো। যেভাবে একটা বিড়াল সারা রাত ধরে খুঁজে ফেরে প্রিয় হাড় ও মাছের কাঁটার চিহ্ন। এই তাদের স্বভাব, আমাকে ভেবো না বিপরীত, ইতরের মতো তোমার গা ঘেঁষে থাকবো, ঝুলে থাকবো কানে ঝুমকো জবা হয়ে। 
সুন্দর, আমাকে করো তোমার চোখের কাজল , এই রয়ে গেলো আবদার, যদি এড়িয়ে যাও, তবে জেনো অভিশাপ। ঢেকে যাচ্ছে মুখ, তুমি চিনবে না, এতো কদাকার হয়ে যাচ্ছি, আমাকে দেখে আশ্চর্য হয়ো না, কেবল একটা মানুষের মতো বর্ণনা করছি নিজেকে শিকারের পদ্ধতি।

তৈমুর খান,কবিতা,সাহিত্য এখন শীতসংখ্যা ২০২০-২১,

 

 


 

নিজের কথা


 


 রাস্তাঘাট এত অনিশ্চিত

                      চারিদিকে অবিশ্বাস দাঁড়িয়ে আছে

 ধর্মের মহিমা প্রচারের আড়ালে

                                        বসবাস করছে ধর্ষক

 মানুষকে কি মানুষ বলা যাবে এখন?

 ঠিক মতো বোঝাবার কোনো উপমা নেই

 ভাষণ শুনে শুনে আমরা বৃদ্ধ হয়ে যাচ্ছি

 পাহারা দিতে দিতে আমরা অসহায়

 প্রতিরাতে আমাদের ফসলের ক্ষেত ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে


 কী নিয়ে বাড়ি ফিরব তবে?

 পরকাল সংকেত পাঠাচ্ছে

 ইহকালের ফাঁকা ট্রাকগুলি চলে যাচ্ছে

 বিজ্ঞাপন দেখতে দেখতে

                         আমাদের বয়ঃসন্ধির রোগ বাড়ছে 

 নিজেরা ডাঙার কুমির হয়ে চাঁদ-সূর্যের আলোয়

                                                          গা শুকাচ্ছি

 ধর্মভীরু হাত অন্ধকারের রুমালে ঘন ঘন মুছে নিচ্ছে


 অনিশ্চিত দিন, ধর্ষক লুকিয়ে আছে, ঘাতকও

 ঝলমল করছে পোশাক

 আমরা মোমবাতি কিনছি রাস্তার ধারের নতুন দোকানে



Friday 1 January 2021

শ্যামল শীল, কবিতা, সাহিত্য এখন শীতসংখ্যা ২০২০-২১,

 








আত্মজিজ্ঞাসা


দূরত্ব রচে ব্যবধান

বাতাসে উড়ছে স্মৃতিরা

স্তব্ধ রয়েছে অভিমান


নামছে সন্ধ্যার ছায়া

আকাশে দু একটি তারা

দেহ কি সমাকীর্ণ মায়া ?

মন্দিরা ঘোষ,কবিতা,সাহিত্য এখন শীতসংখ্যা ২০২০-২১,

 

 


পাথরপ্রবণ



মেটে অসুখের রোদে পুড়ে গ্যাছে চোখ
তবু্ও পাথর হয়ে অসুখ মেখেছো

এইসব পেরেক আর খোলামকুচির আঁধার  পেরিয়ে
ওরা পুরুষ হয়, পুষ্ট পুরুষ
নির্জনে পালক পালক খেলে
ক্লিটোরিসে সুগন্ধি মাখায় আঁশটে প্রবণতা

শৈশব ধুয়ে রাখা স্কুলব্যাগে আজও  মরিচফুলের গন্ধ
ছেঁড়া কাপড়ে গুমরে ওঠা মাসিকদুপুর
কালচে ঠোঁটের নিচে লুকিয়ে আছে
মুক্তোদানার মতো  গোপন

তোমরা পাথর হয়ে যাবার আগে
খাঁচা খুলে দ্যাখো
পালকে নিভেছে আয়ুর খেয়াল
স্পর্ধা ফুরিয়ে গেলে কী হবে
বাদামিভাঁজ আর পাথরপ্রবণ



Thursday 31 December 2020

মিঠুন চক্রবর্তী , কবিতা,

 

 

 
পূর্বরাগ
 
 

যেখানেই হাত রাখছি, সর্বগ্রাসী আগুন

পুড়ে যাচ্ছি। আর পুড়ে যেতেও যে
এত ভাল লাগে, এত মধুর! 

বৃষ্টিতে -ফুলে- পাখিতে জমানো বারুদ ,

বুকের বারান্দায় হু হু করে জ্বলছে
উথাল পাথাল শূন্যতা...
ডাইনিং হলে ঢুকতেই সাবেকি পোশাক ছিঁড়ে
গোগ্রাসে খেয়ে নিল
নীল টেবিলে রাখা রুপোলী থালার খিদে

এভাবেই কি আমার বাঁশিতে তুমি
একদিন হঠাৎ করেই বেজে ওঠো,রাই ? 

আর লোকে দেখে যাকে প্রেমে পড়া বলে

Tuesday 29 December 2020

রাজদীপ পুরী,কবিতা,সাহিত্য এখন শীতসংখ্যা ২০২০-২১,

 


দাম্পত্য 


আমাদের সারারাত খুনসুটি আর তুমুল ঝগড়াঝাটির পর

                        এই যে সূর্য ওঠে আর রোদ এসে ঝিলমিল করে 

আমাদের ছোট ঘরে... আমাদের ছোট ছোট সুখ, ছোট ছোট রাগ অভিমান— 

এই যে আমরা ভাগাভাগি করে নিই, কি নিই না বল?

আমাদের চারহাত দুহাত হয়ে যাওয়ার পরও এই যে

আমরা প্রেমিক প্রেমিকা সাজি, আর তালি বাজাতে বাজাতে

                         পার হয়ে যাই দিন মাস বছর, আস্ত ট্রাম লাইন...


হট প্যান্ট আর স্ট্রবেরী কন্ডোমে টগবগ করে আমাদের 

খেজুর রঙের দাম্পত্য!

 ছবিঃ মঙ্গলদীপ সর্দার

সবর্ণা চট্টোপাধ্যায় ,কবিতা,সাহিত্য এখন শীতসংখ্যা ২০২০-২১,

 


আনন্দ বড়ো ক্ষণজন্মা





আনন্দ বড়ো ক্ষণজন্মা

আঁকড়ে ধরি যে মাটি মজবুত ভেবে

তার ওপর আরো আরো গাছ

আগাছার শরীর উপড়ে ফেলে দাও, ভাবতে ভাবতে 

কেঁপে ওঠে ভিত!

মনে হয় ছিনিয়ে নিয়ে যাই হাওয়ার মুঠি ধরে

লাভার মতো জ্বলে ওঠে অগ্নিনিঃশ্বাস

টের পাও না কিছুই।

জানো যদি একটা উত্তরে শান্ত হয় উত্তাল সমুদ্র

তবে কেন এত না বোঝার ভান?

যতবার ভাবি আশা রাখব না কোন

কেন বারবার চোখ যায় ভোরের কাছে?

বরং দু চোখ বন্ধ থাক।

আমি দেখতে চাই না আর, ভাবতে চাই না 

শুধু চাই একটা ঢেউ এসে বলে দিক, 

এই তো দুটো পা ভিজিয়ে দিয়েছি এবার, 


হেঁটে যাব সোনালি বালির বুকে

দুহাত ছড়িয়ে জড়িয়ে ধরব আকাশ

যেখানে আমাদের সঙ্গম নিঃশ্বাস প্রশ্বাসে

শুরু হবে সেই অনন্ত চুম্বন!





হৃদয় হোম চৌধুরী,কবিতা,সাহিত্য এখন শীতসংখ্যা ২০২০-২১,

 


মৃত্যু


মৃত্যু থেকে ফিরে
জীবনিশক্তির বাকে ঢুকে পড়ি অবিরাম।
আবারো মৃত্যু এলে
অহমিকা তীব্র করে নিশ্চুপ হই।

তখনই
জীবনের আঁচলে মৃত্যুকাঠি জড়ানো হয়।
তবুও
আমি তটভূমি ভেঙে সালোকসংশ্লেষের রসদ খুঁজি

মাহমুদ নোমান, কবিতা, সাহিত্য এখন শীতসংখ্যা ২০২০-২১,

 


 

 কার্তিকের ফুঁ


কার জন্য মন কাঁদছে,
ছায়া মাড়াতে বুকে চিনচিন
সূর্য উদয়ের 'পরে...
পর্দা টেনে দিলে
মধ্যাহ্নের রোদে,
জানলার গ্লাসে
চিকমিকি দ্যোতনায় ;
ভেবেছ কী রাস্তায় —
পোড়া পোড়া পালক,
পেরেকবিদ্ধ মাথার খুলি
বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে
বিচ্ছিন্ন এক কাক ...



ট্রেন ছাড়লে


ঘুম তাড়িয়ে চলেছে ট্রেন
আকাশের বিপুলা অর্গাজমে,
যেন জলোচ্ছ্বাসের উচ্চাশা —
সমুদ্রের বেহাগ গর্জনে
হঠাৎ দেয়াশলাইয়ের কাঠি
জেদ করে জ্বলে ওঠেছে
অভিমানের তামাশা নিয়ে
ঠোঁটে ঠোঁটে এলিয়ে পড়া
চুমুর দগ্ধ গা,
যেন এই একটিবার কারো কান্নার চিৎকার
সূচের মতোন ফুঁড়ে যাচ্ছে
কেউ কোথাও কারো হাত ছেড়ে দিচ্ছে
চিরতরে একাই একা —
তোমরা কেবল একটি শিশুর জন্ম দেখলে

Sunday 27 December 2020

অমিত পাটোয়ারী, কবিতা,সাহিত্য এখন শীত সংখ্যা ২০২০-২১,

 

পাপ – তাপ , নশ্বর ,ঈশ্বর 

একবেলা তুলি হাতে শারীরিক চুরি
একবেলা এক পাতে ডিমের পাতুরি
আমরা তো চেয়ে থাকা ভুলে থাকা লোক
দু’হাতে জড়িয়ে ধরি সমাস কারক

একবেলা একই বই ভাগ ক’রে পড়ি
নাম রাখি সুগ্রীব , সুগ্রীব - বানরী
আমার চলছে কুড়ি ; তোমার একুশ
আমাদের দুই বাবা লব আর কুশ

একবেলা মেসেজেই সকাল কাবার
একটু সময় নেই কবিতা ভাবার
ইমোজি ঝগড়া করি , ঠাস ক’রে চড়
গলে যাই পাতালেতে — ভেসে ওঠে খড়

একবেলা দিঘা প্ল্যান , একবেলা পুরী
দুই দিকে ঘাড় নাড়ে উত্তরসূরি
আমরা টেনিসকোর্ট বানিয়েছি ঘরে
প্রতিবেশী হিংসেয় জ্বলে পুড়ে মরে

একবেলা ধান ভানি , পাড় পড়ে বুকে
বন্ধু কমেন্ট করে। ভীষণ অসুখে
তখন বেতাল হয় দু-অক্ষর নারী
আমি তো তুলসীপাতা , ভিজে জামা ছাড়ি

একবেলা ধুলো খাই পায়ে ধ’রে সেঁধে
চিরকাল রেখে দেব দোঁহা দিয়ে বেঁধে
আমাদের সব বেলা লোহা আর সোনা
ভাত দিয়ে , চটি দিয়ে , রিপু দিয়ে বোনা





অরিজিৎ বাগচী,কবিতা,সাহিত্য এখন শীতসংখ্যা ২০২০-২১,

 



দশমী



সব কথা সেই বাকি থেকে যায় বলা,

'বুক' মানে; সেই মন'কে চেরাই শব্দ!

মেমরি কার্ড'টা বাতিল চেয়ার পাশে,

'দশমী' মানে'ই একলা চলার শর্ত।


ইশতেহারে ধুয়ে গেছে সব খুশি,

লাল শাড়িতে ভাঙা আলোর সাজ;

পেঁজা তুলো আকাশ ঢেকেছিল, 

চিয়ার্স করেছি দুঃখ বারোমাস।


'মাতৃপক্ষ শখের দামে কিনে,

শহরের ছাদে ট্যাক্সি, অটো তারা-

তবুও যারা ছন্দ ভেঙে হাঁটে;

'দশমী' তাদের সঙ্গ হয়নি ছাড়া ।

দেবাশিস তেওয়ারী কবিতা,সাহিত্য এখন শীতসংখ্যা ২০২০-২১,

 


কালীয়দমন



একদা কৃষ্ণের মতো আমিও কালীয়নাগ
                                           নিয়ে ব্যস্ত হই
ভাবি তাকে বধ করব বলে,
তারপর আবার তাকে ছুঁড়ে দেব যমুনার জলে।
কিন্তু সে কপালগুণে মরবার আগেই----
ছুঁড়ে-ছুঁড়ে বিষ দিচ্ছে গা-য়,


মরার আগের এই তেজটুকু দেখে
                                        আমি চলে যাই


পরের রাত্তিরে সেই তীব্র রূপ
                                   ফের ফিরে আসে
ফিরে আসে শত্রু নয়, গোটা একটা
                                          'কালীয়দমন' 


ফিরে এসে বলে 'প্রভু এই,
       যেটুকু সর্বস্ব ছিল সব দিয়ে গেছি
       এর বেশি কি আছে আমার
       তোমাকে দেবার মতো
                                          ভাই'! 





কাক



এই একটা সাদা মেঘ, তার কালো চুল দিয়ে
আঁকা ওই কাকের মস্তক,
আর ক্রূর চালাকির চোখ
হিসেব-রক্ষক হয়ে মাঠে নামছে, মাঠের আঘাত
কাকের দর্শন নিয়ে একপাশে কাত-
হয়ে পড়ে-পড়ে যাচ্ছে, আর শব্দগুলো কোনও গাছে
ছড়িয়ে-ছিটিয়ে গুপ্ত আগুন জ্বালায়
যে-আঘাত টুকরো হয়ে ফিরে যাচ্ছে
                                         মেঘেদের গা-য়


সাদায়-কালোয় মিশে ওরই মাঝখান দিয়ে
                         কাকের কর্কশ খেলে যায়



 
ডিভোর্স ক্লাস্টারিং



সর্দি-কাশির মতো ডিভোর্সও সংক্রামক ব্যধি
সংসার শান্তিতে রাখতে ডিভোর্সির কাছ থেকে
                                        অন্তত নিজেকে
দূরত্ব রাখুন। 


তার প্রতি সমব্যথী হন ক্ষতি নেই
কিন্তু কেন ডিভোর্সটি হল,
কী কী নিয়ে মতানৈক্য, যাবতীয় খুঁটিনাটি
ইত্যাদির দু'এক ঝলকও
              খোঁজ নিয়ে দেখার দরকার নেই
হোক কান্নাকাটি।


নব্বই সালের থেকে এ-যাবৎ মার্কিনী রিসার্চ
'ডেলি মেল'-এ প্রকাশিত তথ্যে জানা যায়
                  যাকে বলে ডিভোর্স ক্লাস্টারিং
অন্যথায় এই রোগ ৭৫% ঘটে অন্যের ক্ষেত্রে


সংসারের জটিল বাঁধনও এর ফাঁকে
                           কখন ক্ষয়াটে হয়ে যায়, 
শুধু সার
                        উড়ে আসে একগুচ্ছ চিঠি
তাতে লেখা----অনুষঙ্গঃ শুষ্ক নিরাশার


এহেন সময় তাকে প্রেতপ্রেম বলি।